ঢাকা , রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ , ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রায়ের ৭ দিনের মধ্যে ওসি প্রদীপের ফাঁসি চান অবসরপ্রাপ্ত সেনারা

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ২৬-০৪-২০২৫ ০৫:৪১:৪৬ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২৬-০৪-২০২৫ ০৭:৫৩:১৪ অপরাহ্ন
রায়ের ৭ দিনের মধ্যে ওসি প্রদীপের ফাঁসি চান অবসরপ্রাপ্ত সেনারা ​সংবাদচিত্র : ফোকাস বাংলা নিউজ
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহালের দাবি এবং আপিল বিভাগ রায় ঘোষণা করার সাতদিনের মধ্যে কার্যকর না করলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে এক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক সেনা সদস্যদের সংগঠনটির নেতারা এই দাবি জানান।

মেজর সিনহা হত্যা মামলার বিচারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সংগঠনের সদস্য সচিব অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট সাইফুল্লাহ খান সাইফ। তিনি বলেন, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে জনগণের পালস বুঝতে হবে। কিছুদিন আগে ওসি প্রদীপের স্ত্রীকে জামিনে মুক্তি দিলেন আবার জনরোষে সেই জামিন বাতিল করলেন। তিনি যেন পতিত স্বৈরাচার সরকারের মতো আচরণ না করেন।

মেজর সিনহা ও বিজিবি হত্যার বিচার না হলে বিচার বিভাগের ওপর মানুষের আস্থা থাকবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আছিয়া, তনু হত্যাসহ অন্যান্য হত্যাকাণ্ডের বিচার জনগণ চাপ না দিলে কেন হয় না? আগে হলে বলা যেত দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে এগুলো হচ্ছে না। এখন কেন হচ্ছে না তা প্রধান উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টা জানেন।

সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, জুডিশিয়ারি, স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের প্রতি স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই, রায় কার্যকরের ক্ষেত্রে কোনো হুমকি, প্রলোভন বা রাজনৈতিক চাপ যেন আপনাদের প্রভাবিত করতে না পারে।

অন্তবর্তীকালীন সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, রায় ঘোষণার পরবর্তী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তা কার্যকর করতে হবে। অন্যথায় এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন সাবেক সহকর্মী হত্যার রায় কার্যকর করার দাবিতে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফে মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে মেজর সিনহা পুলিশের গুলিতে নিহত হন। হত্যাকাণ্ডের চারদিন পর নিহতের বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। র‍্যাব তদন্ত শেষে প্রদীপ কুমারসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

প্রায় ১৮ মাসব্যাপী বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ওসি প্রদীপ কুমার ও টেকনাফের বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ মো. লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন এবং সাতজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

মাত্র ৩৩ কার্যদিবসে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হওয়ায় বাংলাদেশের আইন ও বিচারপ্রাপ্তির ইতিহাসে এটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।

বর্তমানে এই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি হাইকোর্টের বিচারপতি মুস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে চলমান রয়েছে।

বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ